নামাযে দাঁড়াই, সুরা ফাতিহার সাথে আরেকটা ছোট সুরা পড়ি। রুকু-সিজদাহ করি, সালাম ফেরাই… এভাবেই দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামায শেষ করি। কখনও অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করি, কখনও অর্থ চিন্তা করা হয়না। মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি ‘ছোট ছোট সুরায় মহান আল্লাহ আমাদের কি বলেছেন যে আমরা সেগুলোই বারবার পড়ি?’ ছোট ছোট সুরাগুলোতে মহান আল্লাহ সমগ্র কুরআনের বিষয়বস্তু খুব সংক্ষেপে বলেছেন। বাহ্যিক অর্থে তা মনে হবেনা, আয়াতের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে গেলে পুরো কুরআনের সারসংক্ষেপ পাওয়া যায় এসব সুরায়।
নামাযে দাঁড়ালেই শয়তান কুমন্ত্রণা দিতে শুরু করে, সারাদিনই দেয় তবে নামাযের সময় একটু বেশি। সুরা ইখলাস পড়ার সময় মাথায় আসে আমাদের তো আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করলো কে?
হতাশার সাগরে ডুবে কখনও বা আত্মহত্যার চিন্তা করতে করতে নামাযে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর নিকট সাহায্য চাই এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য। আচ্ছা, মহান আল্লাহ মানুষের সফলতার কেমন মানদণ্ড ঠিক করেছেন সেটা কি আমরা জানি? ছোট্ট সুরায় মানবজাতির সফলতা আর ব্যর্থতার কত সুন্দর মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছেন তিনি।